আমি বেশ কিছু দিন ধরে ই-লার্ণিং (e-learning) নিয়ে কাজ করছি, শিখছি, ও অন্যান্যদের কে এই কাজে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করতে চাচ্ছি। যখন বিভিন্ন স্কুলের ম্যানেজমেন্টের সাথে ই-লার্ণিং নিয়ে আলোচনা করছিলাম, তাদের অধিকাংশই মনে করেন যে, জুম মিটিং টুল, গুগল মীট বা এরকম অন্যান্য মিটিং টুলের মাধ্যমে লেখাপড়া করাকেই ই-লার্ণিং বলে।
তাদের কাছে বিষয়টা আরেকটু পরিষ্কার করার জন্য যখন জানতে চাইলাম, আপনারা তাহলে পরীক্ষা কিভাবে নেবেন, কিংবা এসাইনমেন্ট কিভাবে জমা নেবেন? তখন হেসেই তাদের সাধারণ উত্তর থাকে – কেনো, ই-মেইলে এসাইনমেন্ট জমা দেবে, আর পরীক্ষার প্রশ্নগুলু ই-মেইলে পাঠিয়ে দিবো, ছাত্ররা উত্তর লিখে রিপ্লাই করবে!
বিষয়টা কেমন একটু জটিল হয়ে যাচ্ছে না? এতোগুলু ছাত্রের প্রত্যেকের খাতা বা এসাইনমেন্ট আলাদা আলাদাভাবে জমা নিয়ে, সব গুলো সাজিয়ে গুছিয়ে, আবার মার্কিং করে, ফাইনালী একসাথে সব জমা দেওয়াটা শিক্ষকের জন্য কি খুব একটা সহজ হবে?
অথচ তার তুলনায় যদি, ক্লাশ লেকচার গুলো যেই পোর্টালে থাকবে, সেই একই পোর্টালে কুইজ বা এক্সাম তৈরী করা যায় যা র্যান্ডমলী একেকজনের কাছে একেক প্রশ্নের সেট আকারে দেখা যাবে, যাতে অন্যের সাথে প্রশ্নের মিল না থাকে, এবং সেই প্রশ্নগুলো যদি সিস্টেমের মাধ্যমেই নিজে নিজে মার্কিং করা যায়; এবং একই পোর্টালে যদি এসাইনমেন্টও জমা নেওয়া যায় – যেখানে ডেডলাইন অনুযায়ীই কেবল জমা নেওয়া হবে – এবং সব শেষে যদি প্রত্যেকটা ছাত্রের জন্যে স্বয়ংক্রিয় ভাবে এনালিটিক্স/রিপোর্ট তৈরী হয়ে যায় তাহলে কেমন হয়?
জ্বী, ঠিকই বুঝতে পেরেছেন – ই-লার্ণিং কেবল মাত্র অনলাইন কোনো একটা টুল এর মাধ্যমে ক্লাশ লেকচার দেওয়ার সুবিধাই নয়, বরং একটা কোর্স করাতে যত ধরণের এক্টিভিটিজ হয়ে থাকে, তার সব গুলোই একই পোর্টালে করতে পারাটাই ই-লার্ণিং প্লাটফর্ম বুঝায়।
ভবিষ্যতে ইন শা আল্লাহ্ ই-লার্ণিং এর আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। সাথে থাকুন।

2 Responses
Good for Democracy,
Good for people, save the people,
Good for country.
Thanks